কুরআনের কোন সূরা পড়লে কি হয়?
ভূমিকা
পবিত্র কুরআন শুধু একটি ধর্মগ্রন্থ নয়, এটি মানবজাতির জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে পাঠানো এক পরিপূর্ণ জীবনবিধান এবং আত্মিক ‘শিফা’ বা আরোগ্য। এর প্রতিটি হরফ, প্রতিটি আয়াত রহমত ও বরকতে পরিপূর্ণ। মুসলিম হিসেবে আমাদের মনে প্রায়ই প্রশ্ন জাগে, কুরআনের কোন সূরা পড়লে কি হয়? যদিও পুরো কুরআন পাঠেই অফুরন্ত সওয়াব রয়েছে, কিন্তু আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) বিশেষ কিছু সূরা ও আয়াতের স্বতন্ত্র ফজিলত ও উপকারিতার কথা বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের দুনিয়া ও আখিরাতের বিভিন্ন প্রয়োজনে পাথেয় হতে পারে।
এই আর্টিকেলে আমরা বিক্ষিপ্ত তথ্যের ভিড় থেকে বেরিয়ে এসে, সহীহ হাদীসের আলোকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং শক্তিশালী ১০টি সূরা ও আয়াতের ফজিলত তুলে ধরব। রিজিক বৃদ্ধি থেকে শুরু করে কবরের আজাব মাফ, শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে সুরক্ষা এবং রোগমুক্তি—প্রতিটি প্রয়োজনে কুরআনের কোন অংশ আপনার জন্য রক্ষাকবচ হতে পারে, তার একটি পূর্ণাঙ্গ নির্দেশিকা পাবেন এখানে।
কুরআন তিলাওয়াতের সাধারণ ফজিলত: প্রতিটি হরফে ১০ নেকি
নির্দিষ্ট কোনো সূরার ফজিলত জানার আগে, আসুন আমরা কুরআন তিলাওয়াতের সাধারণ পুরস্কার সম্পর্কে জেনে নিই। আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেছেন:
“যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাব (কুরআন) থেকে একটি হরফ পাঠ করবে, সে একটি নেকি পাবে, আর প্রতিটি নেকি দশটি নেকির সমান। আমি বলি না যে, ‘আলিফ-লাম-মীম’ একটি হরফ; বরং ‘আলিফ’ একটি হরফ, ‘লাম’ একটি হরফ এবং ‘মীম’ একটি হরফ।” (সুনানে তিরমিযী: ২৯১০)
সুবহানাল্লাহ! এর অর্থ হলো, শুধু بسم الله পাঠ করলেই আপনি ১৯০ নেকির অধিকারী হয়ে যাচ্ছেন। তাই প্রতিদিন অল্প পরিমাণ হলেও কুরআন তিলাওয়াতকে জীবনের অংশ বানানো উচিত।
নির্দিষ্ট সূরা ও আয়াতের বিশেষ ফজিলত (সহীহ হাদীসের আলোকে)
এবার আমরা সেইসব বিশেষ সূরা ও আয়াত নিয়ে আলোচনা করব, যেগুলোর স্বতন্ত্র উপকারিতা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।
১. সূরা আল-ফাতিহা: কুরআনের মা ও সকল রোগের শিফা
ফজিলত: সূরা ফাতিহা হলো কুরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ সূরা এবং উম্মুল কুরআন বা ‘কুরআনের মা’। এটি সালাতের প্রাণ। এর অন্যতম বড় ফজিলত হলো, এটি একটি শক্তিশালী ‘রুকইয়াহ’ বা দোয়া, যা যেকোনো রোগ ও বিষের জন্য অব্যর্থ মহৌষধ।
দলিল: একদল সাহাবী সফরে থাকা অবস্থায় এক গোত্রপতিকে সাপে কাটে। একজন সাহাবী শুধু সূরা ফাতিহা পাঠ করে ফুঁ দিলে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যান। রাসূল (ﷺ) এই ঘটনা শুনে বলেন, “তুমি কীভাবে জানলে যে এটি একটি রুকইয়াহ?” (সহীহ বুখারী: ২২৭৬)
২. আয়াতুল কুরসি (সূরা বাকারাহ: ২৫৫): শয়তান থেকে সুরক্ষার দুর্গ
ফজিলত: এটি পবিত্র কুরআনের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ও মহিমান্বিত আয়াত। এর ফজিলত এতটাই বেশি যে, যে ব্যক্তি প্রতি ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করে, তার এবং জান্নাতের মধ্যে কেবল মৃত্যুই বাধা হয়ে থাকে। 또한 (Also), যে ব্যক্তি রাতে ঘুমানোর আগে এটি পাঠ করবে, সকাল পর্যন্ত আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন ফেরেশতা তাকে পাহারা দেবে এবং শয়তান তার কাছেও ঘেঁষতে পারবে না।
দলিল: হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) কর্তৃক বায়তুল মালের সম্পদ চুরির চেষ্টাকারী শয়তানকে ধরার বিখ্যাত ঘটনাটি এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ। (সহীহ বুখারী: ২৩১১)
৩. সূরা আল-বাকারার শেষ দুই আয়াত: সারারাতের জন্য যথেষ্ট
ফজিলত: যারা কুরআনের কোন সূরা পড়লে কি হয় তা জানতে চান, বিশেষ করে রাতের বেলার সুরক্ষার জন্য, তাদের জন্য এই দুটি আয়াত অমূল্য। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি রাতের বেলা সূরা বাকারার শেষ দুটি আয়াত (আমানার রাসূলু…) পাঠ করবে, তা তার জন্য (সকল বিপদাপদ থেকে সুরক্ষার জন্য) যথেষ্ট হবে।”
দলিল: সহীহ বুখারী: ৫০০৯, সহীহ মুসলিম: ৮০৭।
৪. সূরা আল-ওয়াক্বিয়াহ: রিজিক ও প্রাচুর্যের সূরা
ফজিলত: এই সূরাটিকে ‘রিজিকের সূরা’ বলা হয়। হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, “যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সূরা ওয়াক্বিয়াহ পাঠ করবে, সে কখনো অভাব বা দারিদ্র্যের শিকার হবে না।” এ কারণে অনেক বুজুর্গ নিয়মিত মাগরিব বা এশার নামাজের পর এই সূরা পাঠ করার পরামর্শ দেন।
দলিল: বায়হাকী, শু’আবুল ঈমান। (যদিও এই হাদীসের সনদ নিয়ে মুহাদ্দিসগণের মধ্যে কিছুটা মতভেদ রয়েছে, তবে ফজিলতের ক্ষেত্রে এটি ব্যাপকভাবে সমাদৃত ও আমলযোগ্য)।
৫. সূরা আল-মুলক: কবরের আজাব থেকে মুক্তিদাতা
ফজিলত: ত্রিশ আয়াত বিশিষ্ট এই সূরাটি তার পাঠকারীর জন্য কবরে এক শক্তিশালী আইনজীবী হিসেবে কাজ করবে। রাসূল (ﷺ) বলেছেন, “কুরআনে ত্রিশ আয়াতের একটি সূরা আছে, যা তার পাঠকারীর জন্য সুপারিশ করতে থাকবে যতক্ষণ না তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়। আর তা হলো তাবারাকাল্লাযি বিয়াদিহিল মুলক।” (তিরমিযী: ২৮৯১)। তিনি আরও বলেছেন, এটি কবরের আজাব থেকে রক্ষাকারী।
দলিল: তিরমিযী, আবু দাউদ। রাসূল (ﷺ) নিজে এই সূরা না পড়ে ঘুমাতেন না।
৬. সূরা ইয়াসিন: কুরআনের হৃদয় (ক্বলব)
ফজিলত: রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সূরা ইয়াসিনকে ‘কুরআনের ক্বলব’ বা হৃদয় বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেছেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে সূরা ইয়াসিন পাঠ করবে, তার পূর্বের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।” মৃত্যুপথযাত্রী ব্যক্তির কাছে এই সূরা পাঠ করলে তার মৃত্যুযন্ত্রণা সহজ হয় বলেও বর্ণিত আছে।
দলিল: সুনানে আবু দাউদ, মুসনাদে আহমাদ।
৭. সূরা আল-কাহফ: দাজ্জালের ফিতনা থেকে সুরক্ষা
ফজিলত: এই সূরার ফজিলত অপরিসীম, বিশেষ করে শেষ জামানায়। রাসূল (ﷺ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি জুমার দিনে সূরা কাহফ পাঠ করবে, তার জন্য এক জুমা থেকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত একটি নূর আলোকিত থাকবে।” তিনি আরও বলেন, “যে ব্যক্তি সূরা কাহফের প্রথম দশটি আয়াত মুখস্থ করবে, সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষা পাবে।”
দলিল: সহীহ মুসলিম: ৮০৯, বায়হাকী।
৮. সূরা আর-রহমান: কুরআনের সৌন্দর্য
ফজিলত: এই সূরাকে ‘জিনাতুল কুরআন’ বা ‘কুরআনের সৌন্দর্য’ বলা হয়। এতে আল্লাহ তা’আলা তাঁর অগণিত নিয়ামতের কথা বার বার স্মরণ করিয়ে দিয়ে মানুষ ও জিন জাতিকে প্রশ্ন করেছেন, “অতএব, তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে?” এই সূরা পাঠ করলে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ বৃদ্ধি পায় এবং অন্তর প্রশান্ত হয়।
৯. সূরা আল-ইখলাস: এক-তৃতীয়াংশ কুরআনের সমান
ফজিলত: এই ছোট্ট সূরাটি তাওহীদ বা আল্লাহর একত্ববাদের এক অসাধারণ ঘোষণা। এর ফজিলত এতটাই বেশি যে, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, “সূরা ইখলাস (কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ) কুরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান।” অর্থাৎ, কেউ যদি এই সূরাটি তিনবার পাঠ করে, তবে সে পূর্ণ এক খতম কুরআন তিলাওয়াতের সওয়াব পাবে।
দলিল: সহীহ বুখারী: ৫০১৩, সহীহ মুসলিম: ৮০১।
১০. সূরা ফালাক ও নাস (মু’আওউযাতাইন): জাদু ও বদনজর থেকে সুরক্ষার শ্রেষ্ঠ ঢাল
ফজিলত: এই দুটি সূরাকে একত্রে ‘মু’আওউযাতাইন’ বা ‘আশ্রয় প্রার্থনার দুই সূরা’ বলা হয়। জাদু, বদনজর, জিন-শয়তানের অনিষ্ট এবং সকল প্রকার গোপনীয় ক্ষতি থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়ার জন্য এর চেয়ে শক্তিশালী আর কোনো মাধ্যম নেই। স্বয়ং রাসূল (ﷺ)-এর উপর যখন জাদু করা হয়েছিল, তখন জিবরাঈল (আঃ) এই দুটি সূরা নিয়ে আসেন এবং এর মাধ্যমে তিনি আরোগ্য লাভ করেন।
দলিল: সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম।
এক নজরে: কুরআনের কোন সূরা পড়লে কি হয় (টেবিল)
সূরার নাম | প্রধান ফজিলত/উপকারিতা | কখন পড়া উত্তম |
সূরা ফাতিহা | রোগমুক্তি, বিষ নামানো, দোয়া কবুল | যেকোনো সময়, বিশেষ করে রুকইয়াহ হিসেবে |
আয়াতুল কুরসি | শয়তান ও জিন থেকে পূর্ণাঙ্গ সুরক্ষা | প্রতি ফরজ নামাজের পর, রাতে ঘুমানোর আগে |
সূরা ওয়াক্বিয়াহ | অভাব দূর হয়, রিজিক বৃদ্ধি পায় | প্রতি রাতে (বিশেষত এশা বা মাগরিবের পর) |
সূরা মুলক | কবরের আজাব থেকে মুক্তি দেয় | প্রতি রাতে (ঘুমানোর আগে) |
সূরা কাহফ | দাজ্জালের ফিতনা থেকে সুরক্ষা, নূর লাভ | প্রতি শুক্রবার (বিশেষত জুমার নামাজের আগে) |
সূরা ইখলাস | এক-তৃতীয়াংশ কুরআন খতমের সওয়াব | যেকোনো সময়, দিনে-রাতে একাধিকবার |
ফালাক ও নাস | জাদু, বদনজর ও সকল অনিষ্ট থেকে রক্ষা | সকাল-সন্ধ্যায়, ঘুমানোর আগে (৩ বার করে) |
কিছু সাধারণ ভুল ধারণা ও সতর্কতা
- শুধু নির্দিষ্ট সূরা পড়া: কিছু সূরার বিশেষ ফজিলত রয়েছে মানে এই নয় যে, বাকি কুরআনকে অবহেলা করতে হবে। পুরো কুরআনই হিদায়াত ও রহমতের উৎস।
- অর্থ না বোঝা: অর্থ না বুঝে পড়লেও সওয়াব রয়েছে, তবে অর্থ বুঝে পাঠ করলে তা অন্তরে বেশি প্রভাব ফেলে এবং জীবনের সাথে কুরআনের সম্পর্ক গভীর হয়।
- দুর্বল হাদীসের উপর নির্ভরতা: অনেক সূরার ফজিলত নিয়ে সমাজে বানোয়াট বা অত্যন্ত দুর্বল হাদীস প্রচলিত আছে। আমাদের উচিত সহীহ সূত্র দ্বারা প্রমাণিত আমলগুলোর উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQ)
প্রশ্ন: রিজিক বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী সূরা কোনটি?
উত্তর: রিজিক বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে প্রসিদ্ধ সূরা হলো সূরা আল-ওয়াক্বিয়াহ। প্রতি রাতে এটি পাঠ করা অত্যন্ত ফলপ্রসূ বলে বর্ণিত হয়েছে।
প্রশ্ন: আমি কি শুধু এই সূরাগুলো পড়লেই সকল বিপদ থেকে মুক্ত থাকব?
উত্তর: এই সূরাগুলো আল্লাহর হুকুমে রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে। তবে এর পাশাপাশি তাকওয়া অবলম্বন করা, হারাম থেকে বেঁচে থাকা এবং অন্যান্য ফরজ আমলগুলোও সঠিকভাবে পালন করা আবশ্যক। পূর্ণ সুরক্ষার জন্য আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল বা ভরসা রাখাই মূল ভিত্তি।
প্রশ্ন: অসুস্থ ব্যক্তির জন্য কোন সূরা পড়ে ফুঁ দেওয়া উত্তম?
উত্তর: অসুস্থ ব্যক্তির জন্য সূরা ফাতিহা পড়ে ফুঁ দেওয়া সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত এবং এটি সর্বোত্তম রুকইয়াহ। এর সাথে আয়াতুল কুরসি এবং সূরা ফালাক ও নাস পড়েও ফুঁ দেওয়া যায়।
উপসংহার
পরিশেষে, কুরআনের কোন সূরা পড়লে কি হয় এই আলোচনা থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, আল্লাহ তা’আলা তাঁর কালামের মধ্যে আমাদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতের সকল সমস্যার সমাধান রেখে দিয়েছেন। এই সূরাগুলো আল্লাহর পক্ষ থেকে আমাদের জন্য বিশেষ উপহার। এগুলোকে শুধু প্রয়োজনের সময় ব্যবহার না করে, আসুন আমরা প্রতিদিন কুরআনকে আমাদের জীবনের অংশ বানাই, এর আলোয় নিজেদের জীবনকে আলোকিত করি এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করি।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে কুরআনের সহীহ জ্ঞান অর্জন এবং তার উপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমীন।
আরোও পড়ুন…….
- ১০টি জীবন বদলে দেওয়া দোয়া যা প্রতিটি ব্যক্তির জানা উচিত
- সময় নষ্ট করছেন? ইসলামে সময় ব্যবস্থাপনার সেরা ৫টি মূলনীতি
-
ভয়াবহ কালো জাদু থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় – দোয়া, লক্ষণ ও মুক্তির পূর্ণাঙ্গ নির্দেশিকা
🕋 আমাদের পছন্দের কিছু ইসলামিক পণ্য
এই লিঙ্কগুলো থেকে কেনাকাটা করলে সাইটটির সাপোর্ট হয়, আপনার কোনো অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই। জাযাকাল্লাহু খাইরান।
- সুন্দর এবং আরামদায়ক জায়নামাজ: এখানে দেখুন
- খাঁটি এবং অ্যালকোহল-মুক্ত আতর: এখানে দেখুন
- মানসম্মত টুপি/টুপি সেট: এখানে দেখুন
- ডিজিটাল তাসবীহ/গণনা যন্ত্র: এখানে দেখুন